চলতি আলু মৌসুমে বৃহত্তর রংপুরের পাঁচ জেলায় এবার দুই হাজার ৮০০ মেট্রিক টন আলুর বীজ বরাদ্দ দিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)। রংপুর, লালমনিহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও নীলফামারী জেলার ৮২০ ডিলারের মাধ্যমে এসব বীজ আলু বরাদ্দ দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) রংপুর অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি আলু মৌসুমে, ডিলার, কৃষক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিএডিসি ছয়টি জাতের ২ হাজার ৫০০. ৪৭২ মেট্রিক টনসহ মোট ২ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন আলুর বীজ বরাদ্দ দিয়েছে।
এর মধ্যে আগাম জাতের সান্তানা, গ্রানোলা, কারেজ, সেভেন ফোর জাতের ২৮৩ মেট্রিক টন। এছাড়াও সাধারণ মৌসুমের এস্টারিক্স, এ্যালুইটি, প্রাডা, ল্যাবেলা, বিয়ান্না ও কিং রাসেট জাতের দুই হাজার ৫০০. ৪৭২ মেট্রিক টন। বরাদ্দকৃত এসব বীজ আলু বিএডিসির রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী জেলার ডোমার, জামালপুর, নকলা, পাকুন্দিয়া, শেরপুর, যশোর, গোপালগঞ্জ, পঞ্চগড় মধুপুর এবং দত্তনগর হীমাগার থেকে ডিলারদেরকে উত্তোলন করতে হবে।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) উপপরিচালক (বীজ বিপণন) মাসুদ সুলতান জানান, ৩ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ৯ অক্টোবর বিকেল পর্যন্ত রংপুর জেলার ডিলারদের মধ্যে মোট বরাদ্দের পঞ্চাশ শতাংশ বীজ আলু বিতরণ করা হবে। প্রতি ডিলার এক হাজার ৬০০ কেজি বীজ আলু ৯৭ হাজার টাকার পে-অর্ডার ব্যাংকে জমা দিয়ে তুলতে পারবেন।
এছাড়াও নীলফামারী, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম ও লালমনিহাট জেলার ডিলাররা জনপ্রতি এক হাজার ৪৮০ কেজি আলুবীজ ৮৫ হাজার টাকার পে-অর্ডার ব্যাংকে জমা দিয়ে তুলতে পারবেন।
তিনি জানান, রংপুর অঞ্চলে যে পরিমাণ আলুর চাষ করা হয় তা বিএডিসির মাত্র তিন শতাংশ বীজ সরবরাহ করে থাকে। বাকি বীজ কৃষকেরা বিভিন্নভাবে সংগ্রহ করে থাকে। বিএডিসির বীজ ভালো হওয়ার কারণে এর চাহিদা বেশি।