Homeকৃষিআদা চাষে স্বপ্ন দেখছেন আল মাসুদ

আদা চাষে স্বপ্ন দেখছেন আল মাসুদ

এই প্রথম বরিশালের গৌরনদীতে বাণিজ্যিকভাবে বস্তায় আদা চাষ শুরু করেছেন প্রত্যন্ত আধুনা গ্রামের রহমান শেখের ছেলে কৃষি উদ্যোক্তা আল মাসুদ। তিনি তার বাড়ির পাশে অব্যবহৃত পড়ে থাকা মেহগনি বাগানে উদ্যোগ নিয়েছেন বস্তায় আদা চাষের। এ কাজে তিনি আশানুরুপ ফল পাচ্ছেন বলে জানান।

সরেজামিন দেখা যায়, সিমেন্টের ফেলে দেয়া ১৫ হাজার ছোট ছোট বস্তায় আদা চাষ শুরু করেছেন আল মাসুদ। যার প্রতি বস্তায় খরচ হয়েছে ৬০-৭০ টাকা। আদার বাম্পার ফলন হওয়ায় তিনি এখন লাখ টাকা লাভের স্বপ্ন দেখছেন। তিনি জানান, আমদানী নির্ভর কৃষি পণ্যগুলো যাতে দেশেই উৎপাদন করা যায়, সেই আগ্রহ তার ছোটবেলা থেকেই। বিশেষ করে প্রতিবছর আদা আমদানী করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হয়।

তাছাড়া আদার দামও অনেক বেশি। তাই তিনি বস্তায় আদা চাষের এই উদ্যোগ নেন। এখন তিনি নিজেদের এবং পাড়া প্রতিবেশীদের প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে বাড়তি লাভের ভালো সম্ভাবনা দেখছেন। তিনি আরো জানান, তার ১৫ হাজারের একেকটি বস্তায় গড়ে আধা কেজি করে আদার ফলন হয়েছে। এতে তার খরচ বাদে বেশ লাভ হবে বলে আশা করছেন।

একই গ্রামের সুমন হাওলাদার, রাহাত সরকার ও আরমান হাওলাদারসহ আরো কয়েকজন নতুন কৃষি উদ্যোক্তা জানান, বস্তা পদ্ধতিতে আদা চাষ কৃষিতে নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি করেছে। এ পদ্ধতিতে আদা চাষ করলে অনেক অব্যবহৃত জমি কাজে লাগানো যায়।

উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো: মনিরুজ্জামান জানান, গাছের নিচে বস্তা কিংবা নেট পদ্ধতিতে চাষ করা যায় বলে আদা চাষে আলাদা করে জমির প্রয়োজন হয় না। আল মাসুদের আদা বাগানে গিয়ে তাকে নানাভাবে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। বস্তায় আদা চাষপদ্ধতি সহজ হওয়ায় আগামীতে এ উপজেলায় আদা চাষে অনেকেই আগ্রহী হয়ে উঠবেন বলে আশা করছি।

গৌরনদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেকেন্দার শেখ বলেন, জমিতে আদা চাষ করলে বর্ষার পানিতে অনেক ক্ষেত নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু বস্তায় আদা চাষ করলে সেই আশঙ্কা থাকে না। প্রয়োজনে বস্তাগুলো উঁচু জায়গায় সরিয়ে নেয়া যায়। বস্তায় আদা চাষে খরচও কিছু কম। তাই আমরা নতুন এ পদ্ধতিতে আদা চাষ করতে কৃষকদেরকে উদ্বুদ্ধ করছি।

Must Read