Homeআন্তর্জাতিকআমি সব যু’দ্ধ বন্ধ করে দেব : ট্রাম্প

আমি সব যু’দ্ধ বন্ধ করে দেব : ট্রাম্প

বিশ্বে চলমান সব যুদ্ধ বন্ধ করে দেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। আজ বুধবার নির্বাচনে জয় দাবি করে এই মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় ট্রাম্প বলেন, আর কোনো যুদ্ধ হতে দেব না।

সংবাদমাধ্যম কিয়েভ ইনডিপেনডেন্ট বলছে, বুধবার ফ্লোরিডার ওয়েন্ট পাম বিচে উচ্ছ্বসিত জনতার সামনে এ কথা বলেন ট্রাম্প। এ সময় ট্রাম্প বলেন, `আমাদের কোনো যুদ্ধ ছিল না। আইএসআইএসকে পরাজিত করা ছাড়া চার বছর ধরে আমাদের কোনো যুদ্ধ হয়নি। তারা (ডেমোক্র্যাট) বলেছিল ‘সে একটি যুদ্ধ শুরু করবে’। আমি যুদ্ধ শুরু করতে যাচ্ছি না, আমি যুদ্ধ বন্ধ করতে যাচ্ছি।’

এর আগে নির্বাচনী বিতর্কে ট্রাম্প ইউক্রেন ইস্যুতে বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি এই যুদ্ধটি শেষ করা এবং এটি সম্পন্ন করা, একটি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করা আমেরিকার সর্বোত্তম স্বার্থ।’

মার্কিন নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে ছিল রাশিয়া ও ইউক্রেন। যুদ্ধরত এই দেশ দুটো পর্যবেক্ষণ করেছে মূলত ট্রাম্প জেতেন কিনা সেটি দেখার জন্য। তিনি জিতে যাচ্ছেন, হয়তো ইউক্রেনে সহায়তা কমে যেতে পারে। তার প্রভাব পড়বে যুদ্ধে। বিশ্লেষকেরা এমনটাই বলছেন।

এমনকি ট্রাম্পও বলেছেন, তিনি চাইলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে পারবেন। ধারণা করা হচ্ছে, ক্ষমতায় গেলে তিনি সহায়তা বন্ধ করে দিয়ে ইউক্রেনকে রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা করতে বাধ্য করতে পারেন। এতে করে ইউক্রেনের বেশকিছু এলাকা পেয়ে যাবে রাশিয়া।

এ ব্যাপারে ইউরেশিয়া গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আইয়ান ব্রেমার সংবাদমাধ্যম সিএনবিসিকে বলছেন, ‘মার্কিন নির্বাচন ইউক্রেনীয়দের হাত জোর করে বেঁধে দিতে পারে। কারণ ট্রাম্পের জয় অবিলম্বে আমেরিকান নীতি অভিমুখী পরিবর্তনের দিকে নিয়ে যাবে এবং আলোচনার জন্য কিয়েভের ওপর আরও অনেক বেশি চাপ সৃষ্টি করবে, যার অর্থ ইউক্রেনীয়দের শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সমর্থক থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চায় কি না।’

এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল-হামাস সংঘাত ও ইসরায়েল-লেবানন সংঘাত বন্ধ হবে কিনা, তা নিয়ে জল্পনা চলছে। যদিও আজকের বক্তৃতায় কোনো যুদ্ধের কথাই সরাসরি উল্লেখ করেননি ট্রাম্প।

ট্রাম্প জিতলে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি বদলে যেতে পারে। যদিও দুই প্রার্থীই ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়ার কথা বলছেন। আর হুমকি দেওয়া হচ্ছে ইরানকে। এর মধ্যে এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প, তিনি নিজেকে ইসরায়েলের ‘রক্ষাকর্তা’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন।

Must Read