Homeকৃষিপানির দরে মিলছে ফুলকপি, বিপাকে কৃষক

পানির দরে মিলছে ফুলকপি, বিপাকে কৃষক

মাগুরায় ফুলকপির উৎপাদন ও সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম তলানিতে নেমে এসেছে। বর্তমানে প্রতি কেজি ফুলকপি মাত্র দুই টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যদিও ফলন ভালো হয়েছে, তবুও দাম না পাওয়ায় কৃষকেরা পরিবহন খরচও তুলতে পারছেন না। লাভের আশায় ফুলকপি চাষ করলেও এখন উৎপাদন খরচ নিয়েই বিপাকে পড়েছেন তারা।

এই মৌসুমে মাগুরা জেলায় প্রায় ৩ হাজার ৬৯৮ হেক্টর জমিতে সবজির আবাদ হয়েছে, যার মধ্যে ২৭৫ হেক্টর জমিতে ফুলকপি চাষ হয়েছে। সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে সদরের মঠবাড়ি, রামনগর, কেষ্টপুর, হাজরাতলা, মধুপুরসহ বিভিন্ন এলাকায়।

কৃষকেরা জানিয়েছেন, প্রতি বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করতে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে এবং উৎপাদন হয়েছে সাড়ে ৪ টন। তবে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি ফুলকপি মাত্র ২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা উৎপাদন খরচের চেয়ে অনেক কম। ফলে লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের।

একজন কৃষক বলেন, ‘আমরা সবাই একসাথে কপি আবাদ করেছি, তাই একই সময়ে কপি হয়েছে। বাজারে নিয়ে গেলে ২-৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হয়, কেউ নেয় না। পরিবহন খরচও উঠছে না, বিক্রি করতে না পারলে ফেলে দিতে হবে।’

ভবিষ্যতে লোকসান এড়াতে কৃষি বিভাগ পরামর্শ দিয়েছে, এক মৌসুমে একই ধরনের ফসল উৎপাদন না করে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করতে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মো. ইয়াছিন আলী বলেন, ‘ব্যাপকভাবে চাষ করা হলে সবজির উৎপাদন বেড়ে যায়। চাহিদার তুলনায় সবজি বেশি থাকায় কৃষকেরা দাম পাচ্ছেন না।’

খুচরা বাজারে সবজি দুই থেকে তিনগুণ বেশি দামে বিক্রি হলেও পাইকারি বাজারে সেই হিসাব ভিন্ন। তাই নিয়মিত বাজার তদারকির দাবি জানিয়েছেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা।

Must Read